Click Here!!

Saturday, May 26, 2018

কে এই মাদক সম্রাজ্ঞী সিমা যার একাধিক পুরুষেও মন ভরে না !

রাজধানীর ভয়ঙ্কর শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী সিমা। চালচলন ও জীবনযাপনে তার আভিজাত্যের ছাপ। চলেন উচু তলার মানুষের সঙ্গে। মাদক ব্যবসা করে তিনি টাকার পাহাড় গড়েছেন। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে গড়ে তুলেছেন ভুয়া ডিবি পুলিশ। সম্প্রতি পুলিশ তাকে আটক করেছে। তিনি এখন জেলে বন্দি।

দেখতে বেশ সুন্দরী এই মাদক সম্রাজ্ঞী। মাদক ব্যবসা কিটিয়ে রাখতে রূপের জাদুতে বহু পুরুষের মন ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন। বিয়ে তার কাছে পুতুল খেলার মতো। কারণ, পুরুষকে নিয়ে খেলতেই তার ভালো লাগে। তাই একে একে তিনি সাত বিয়ে করেছেন।

সিমার বয়স চল্লিশের মতো। অতি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। গড়েছেন বিপুল সম্পত্তি। রাজধানীর ‘টপ আন্ডারওয়ার্ল্ড’র একজন। এমন কোনও অপরাধ নেই, যার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। মাদক সম্রাজ্ঞী সিমার উত্থানে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন গোয়েন্দারা।

অন্য দশ নারীর চেয়ে তিনি সুন্দরী। স্কুলের গন্ডি না পেরুলেও আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করেন তিনি। পরিপাটি পোশাক ও গহনা দিয়ে সবসময় নিজেকে আকর্ষণীয় করে রাখেন। দেখলে যে কারো মনে হতে পারে- অভিজাত ঘরের মেয়ে তিনি। এখন অভিজাতভাবেই চলাফেরা করেন। কী নেই তার! আছে গাড়ি-বাড়িসহ বিপুল অর্থবিত্ত। কিন্তু এক সময়ের দরিদ্র সিমার কিভাবে এত অর্থবৈভব আসেলো, যে কারো প্রশ্ন আসতেই পারে। সেই প্রশ্নের উত্তরে রয়েছে সিমার উত্থানের গল্পে।

মাদক, দেহ ব্যবসা থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তিনি করেনি। সুন্দরী চেহারা দিয়ে পুরুষ শিকারও করেছেন। তার সুন্দরের মোহে যে পড়েছে, তার সর্বনাশ হয়েছে। একে একে ৬টি স্বামী বদলিয়ে তিনি এখন আছেন ৭ নম্বরের ঘরে।

রাজধানীর যে কয়েকজন মাদক সম্রাজ্ঞী রয়েছেন, সিমা তাদের সবার উপরে। রামপুরার ওলনে তার বাড়ি হলেও- রামপুরা, খিলগাঁহ, মুগদা, যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত তার মাদকের বিস্তার। এছাড়াও বাসা, ফ্ল্যাট ভাড়া করে চালান দেহ ব্যবসা। আর এসব করেই বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন সিমা। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জালে ধরা পড়া ১২ ভুয়া ডিবি পুলিশের সিন্ডিকেটটিও তার। তার স্বামী বারেক এ সিন্ডিকেট পরিচালনা করতেন। বারেক গোয়েন্দাদাদের হাতে ধরা পড়ার পর ছিনতাইয়ের টাকা উদ্ধার হয় এ সিমার কাছ থেকেই। বর্তমানে সিমাও ওই মামলায় আটক হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর তার নিকট থেকে পুরো সিন্ডিকেটের তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। তাদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিম। পুলিশের বিভিন্ন পর্যাায়ের কর্মকর্তারা জানান সিমা একজন ভয়ংকর মাদক সিন্ডিকেটের নেত্রী। দীর্ঘদিন ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে তিনি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

সিমার বিষয়ে অনুসন্ধানে মিলেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। রামপুরার ওলনের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিমা মূলত তার নানা নানীর বাসায় পালিত। স্কুলে পড়া অবস্থায় সুন্দরী সিমা ছিল ধৃত প্রকৃতির। ক্লাশ সেভেন কিংবা এইটে পড়া অবস্থায় খসরু হায়দার বাবু নামের এক ধনি লোককে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন সিমা। ওই সময় বাবুর স্ত্রী ও সন্তান ছিলো। এরপর কিছুদিন সেখানে থাকার পর মোটা অংকের টাকা নিয়ে পলাশ নামের অন্য আর এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। কিছুদিন পলাশের সঙ্গে থাকার পর তার কাছ থেকেও টাকা হাতিয়ে আবারও চলে আসেন বাবুর নিকট। এরপর আবার বাবুর সঙ্গে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাওরান বাজারের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী নজরুলকে বিয়ে করেন। এরপর সেখানেও কিছুদিন কাটনোর পর আবারও চলে আসেন রামপুরায়। এভাবে সীমা একে একে ৬টি স্বামী বদল করে রামপুরার আলোচিত নারীতে পরিনত হন।

প্রথমে বিয়ের মধ্যেই সিমাবব্ধ থাকলেও মাদকে জড়িয়ে যান সিমা। এক সময় তার নাম হয়ে যায় ফেন্সি সিমা। বেপরোয়া সিমা ক্রমেই তার পরিধি ও সহযোগীর সংখ্যা বাড়াতে থাকে। রামপুরা থেকে খিলগাঁও, খিলগাঁও থেকে সবুজবাগ, সবুজ বাগ থেকে যাত্রাবাড়ি পুরো এলাকায় সিমার দাপট। ইয়াবা, ফেন্সিডিল, প্যাথেডিন, গাঁজাসহ এমন কোন নেশাদ্রব্য নাই যা সে ব্যবসা করেনি।

এরই মাঝে সিমা আবারও বিয়ে করেন। সর্বশেষ যাকে বিয়ে করেন সে আন্তজেলা ডাকাত ও ভুয়া ডিবি চক্রের অন্যতম দলনেতা বারেক। বারেককে সে এ কাজেই ব্যবহারের জন্য মূলত বিয়ে করে। বারেক সিমার পুরো মাদক জগৎ দেখাশুনার দ্বায়িত্ব পায়।

সিমা নিজেকে বিকশিত করতে রামপুরা কতিপয় নেতাদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেন। মাদক সম্রাজ্ঞী হওয়া সত্বেও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনও করেন তিনি। সবাই জানে সিমা মাদক সম্রাজ্ঞী তারপরও যেন কেউ জানেনা।

মাদকের পাশাপাশি দেহ ব্যবসাও করান সিমা। অভিযোগ রয়েছে, রামপুরা, খিলগাঁও ও মালিবাগের বেশ কিছু ফ্ল্যাট রযেছে তার। আর এ সকল ফ্ল্যাটে দেহ ব্যবসা করান।

সর্বশেষ গত বছরের ১৮ জুলাই মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ১২ ভূয়া ডিবি পুলিশকে আটক করে। আটক হয় সিমার স্বামী বারেকও। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয় তার স্ত্রী মাদক সম্রাজ্ঞী সিমার কাছ থেকে। তাকে গ্রেপ্তারও করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনার পর এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে ননা গুঞ্জন। রামপুরার সর্বত্রই তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা। স্থানীয় কয়েকজন নেতাও বিব্রত। বিভিন্ন দলীয় কর্মকান্ডে সিমার সঙ্গে ছবি থাকায় তারাও রয়েছেন সমালোচনার মুখে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সিমার অপ্রতিরোধ্য উথ্যানে কামিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। সামান্য দরিদ্র পরিবার হলেও সিমার এখন আভিযাত্যের শেষ নেই। আছে বাড়ি, গাড়ি ও কাড়ি কাড়ি টাকা। চলাফেরাও করেন সমাজের উচ্চ বিত্তবানদের সঙ্গে।

অভিযোগ রয়েছে, তার এ মাদক সম্রাজ্য ধরে রাখতে রয়েছে বিশেষ গুন্ডা বাহিনী। যারা প্রতিনিয়ত তাকে রক্ষা করে। তিনি যেখানে যান সেখানে অন্তত ১০/২০ জন গুন্ডা থাকে তার সঙ্গে। এগুলোকে মাসিক অথবা সাপ্তাহিক টাকা দেন সিমা।

রাজধানীর বিহারী ক্যাম্পে মাদকবিরোধী অভিযান, আটক শতাধিক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিহারী ক্যাম্পে র‌্যাবের মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন-র‌্যাব। অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জনকে আটক করেছে র‍্যাব। অভিযানে প্রায় ৫০০ র‍্যাব পুরো ক্যাম্প ঘিরে রাখে।

শনিবার (২৬ মে) সকাল ১১টার দিকে এই অভিযান শুরু হয়। র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য নিশিচত করেছেন।

তিনি জানান, বিহারী ক্যাম্পে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের ক্রয় বিক্রয় হয় বলে তাদের কাছে তথ্য অাছে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই সেখানে অভিযান পরিচালিত হছে।

Friday, May 25, 2018

অতীতে অনেক জল গড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও গড়াবে: মমতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার মতোই ১৯৭১ সাল থেকে দৃঢ় ও বহমান রয়েছে। তিনি বলেন, অতীতে অনেক জল গড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও গড়াবে। তবে আমি মনে করি দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার কোলকাতায় বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। খবর: বাসস।

মমতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কবি নজরুল ইসলামকে একই বৃন্তের দুটি ফুল উল্লেখ করে বলেন, এই দুই মহান কবিকে বাদ দিয়ে যেমন বাংলা ভাবা যায় না, তেমনি ভারত-বাংলার ক্ষেত্রেও তাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক চমৎকার এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

বিশ্ব ভারতি ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ করার জন্য বিশ্ব ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বলেন, এটি দু’দেশের জন্য একটি পবিত্র স্থান হয়ে থাকবে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তার সরকার নজরুলের নামে বিশ্ববিদ্যালয়, বিমানবন্দর, চেয়ার এবং পবিত্র স্থানের নামকরণ করেছে। আমরা বঙ্গবন্ধু ভবনও স্থাপন করতে চাই।

মালয়েশিয়ায় মাদক চোরাচালানের দায়ে অস্ট্রেলীয় নারীর ফাঁসি !

 অস্ট্রেলীয় এক নারীকে মাদক চোরাচালানের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন মালয়েশিয়ার একটি আদালত। খবর বিবিসি’র।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই অস্ট্রেলীয় নাগরিকের নাম মারিয়া এলভিরা পিন্টো এক্সপোস্ত (৫৪)। তিনি ২০১৪ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ১ দশমিক ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন মাদকসহ গ্রেফতার হন।

গত বছরের ডিসেম্বরে সব অভিযোগ থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন মালয়েশিয়ার আদালত। কিন্তু পরবর্তীতে আইনজীবীদের আপিলের পর আগের রায় বাতিল করা হয়।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চীনের সাংহাই শহর থেকে কুয়ালালামপুর হয়ে মেলবোর্নে যাওয়ার পথে এলভিরাকে গ্রেফতার করা হয়। তিন বছর কারাবন্দি থাকার পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ওই সময় তিনি আদালতকে বলেন, তার লাগেজে কীভাবে মাদক এসেছে সেই ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না।

এলভিরার আইনজীবী বলেন, এলভিরাকে একটি নলাইন রোমান্স কেলেঙ্কারির চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া হয়েছিল এবং প্রতারণা করে তার
লাগেজে মাদক ঢুকিয়ে দেয়া হয়।

বিচারক তাকে ‘সহজ-সরল’ এবং তার ভালোবাসার অনুভূতি সবকিছু জয় করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় মাদক চোরাচালানের শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকর করা বাধ্যতামূলক।

গাইবান্ধায় ৫ লাখ টাকার হিরোইনসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক !

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৫০ গ্রাম হিরোইনসহ আম্বিয়া বেগম (৪৬) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (২৫ মে) রাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মধ্য ফলিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক আম্বিয়া বেগম একই গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মেহেদী হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চলিয়ে সদর উপজেলার মধ্য ফলিয়া গ্রাম থেকে আম্বিয়া বেগমকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৫০ গ্রাম হিরোইন জব্দ করা হয়।

পরে তার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।

ঘূর্ণিঝড় ‘মেকুনু’র আঘাতে ওমান ও ইয়েমেনে আটজনের প্রাণহানি !

ওমান ও ইয়েমেন উপকূলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মেকুনু’র আঘাতে ৮ জন নিহত হয়েছে। ইয়েমেন উপকূলে আঘাত হানার একদিন পর শুক্রবার ওমানের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়।

স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ঝড়ের কবলে পড়ে ১২ বছর বয়সী এক শিশু মারা যায়। এছাড়া, ঘূর্নিঝড়ের পাশাপাশি ভারি বর্ষণে ধোফার ও আল-উস্তা রাজ্যে দেখা দেয় বন্যা। সেখান থেকে প্রায় দশ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সকোত্রা দ্বীপে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে ৭ জন নিহত হয়। এতে নিখোঁজ রয়েছে আরো অর্ধশতাধিক মানুষ।

নিহতদের চারজন ইয়েমেনের ও একজন ভারতের নাগরিক বলে জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স। নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ইয়েমেন, ভারত ও সুদানের নাগরিকরা রয়েছেন।

ইয়েমেন সরকার সোকোট্রাকে একটি ‘দুর্যোগ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ইয়েমেনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সাবা জানাচ্ছে, ওই ঝড়ে দুটি জলযান উল্টে গেছে এবং তিনটি গাড়ি ভেসে গেছে।

ময়লার ড্রাম থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর মতিঝিলে এলাকায় ময়লার ড্রাম থেকে একদিন বয়সী এক ছেলে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে টিঅ্যান্ডটি কলোনি এলাকায় একটি ময়লার ড্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, টিঅ্যান্ডটি কলোনীর উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে ময়লার ড্রামের নিচে নবজাতকের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গ পাঠায়।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে টিঅ্যান্ডটি কলোনি হাই স্কুলের পাশে ময়লার ড্রামের ভেতর থেকে ছেলে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সহকর্মীকে ‘হ্যান্ডসাম’ বলে চাকরি খোয়ালেন টিভি উপস্থাপিকা !

টেলিভিশনে লাইভ সম্প্রচারের সময় পুরুষ সহকর্মীকে ‘হ্যান্ডসাম’ বলে বসেন টিভি উপস্থাপিকা। আর তাতেই চটে যান কুয়েতের তথ্যমন্ত্রী।

তার ভাষ্য, গণমাধ্যমে এই ধরনের ঘটনা নাকি একেবারেই শোভনীয় নয়। তাই শেষমেশ চাকরিই খোয়াতে হল সঞ্চালিকাকে। দিন কয়েক আগে ঘটনাটি ঘটেছে কুয়েতে।

কুয়েতে পৌরসভা নির্বাচন চলছে। সেখানকার সরকারি টিভি চ্যানেলে ওই নির্বাচনেরই লাইভ সম্প্রচার করছিলেন বাসিমা আল-শামার নামে ওই সঞ্চালিকা।

সংবাদ সংস্থা আল আরবিয়ার খবর, সম্প্রচার চলার সময় স্থানীয় রিপোর্টার নওয়াফ অল-শিরাকির সঙ্গে কথোপকথন শুরু হয় বাসিমার।

উপস্থাপিকার প্রশ্নের জবাব দেয়ার আগে কিছুটা সময় নিজের ‘গুত্রা’ (মধ্যপ্রাচ্যে পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী মাথা ঢাকার বস্ত্র) ঠিক করে নিচ্ছিলেন নওয়াফ। ততক্ষণে ক্যামেরা রোল করা শুরু করে দিয়েছে।

বাসিমা তাকে বলেন, গুত্রা ঠিক করার প্রয়োজন নেই। তুমি এমনিতেই খুব হ্যান্ডসাম।

গোটা ঘটনাকে ‘অশালীন’ আখ্যা দিয়ে বাসিমাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছে কুয়েতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সাংসদ মহম্মদ অল-হায়াফ টুইটারে লিখেছেন, একজন সরকারি টিভি চ্যানেলের সঞ্চালিকার এই ধরনের মন্তব্য কখনোই শোভনীয় নয়। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।

সৌদি আরবের দৈনিক আরব নিউজ জানিয়েছে, বাসিমার ওই মন্তব্যকে পর গোটা দেশের সংবাদ মাধ্যম মোটামুটি দুভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। ক্ষোভ ছড়িয়েছে জনগণের মধ্যেও।

একদলের দাবি, এটা নিছক কৌতুক ছাড়া আর কিছুই নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই মন্তব্য করেননি সঞ্চালিকা। আবার অন্য পক্ষ সুর চড়িয়েছে বাসিমার বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, লাইভ অনুষ্ঠানে সহকর্মীকে এই ধরনের মন্তব্যের অর্থ ‘ফ্লার্ট’ ছাড়া আর কিছুই নয়।

তবে কোনওরকম উদ্দেশ্য ছাড়াই ওই মন্তব্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন বাসিমা। তিনি বলেছেন, নওয়াফকে আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম, তোমার গুত্রা খুবই সুন্দর আর সেটা পড়ে তোমাকেও খুব ভাল লাগছে। তাই আলাদা করে কোনো কিছু ঠিক করার দরকার নেই। তুমি বলতে শুরু কর। আমরা তোমার কথা শুনব বলে অপেক্ষা করে আছি। সহকর্মীকে পুরোপুরি সমর্থন করেছেন নওয়াফও।

তিনি বলেছেন, মানুষ হিসেবে বাসিমার তুলনা হয় না। সবচেয়ে বড় কথা, তার মতো দক্ষ উপস্থাপিকাও হয় না।

Monday, May 21, 2018

রমজান মাসেও আবাসিক হোটেলে অবৈধ যৌন ব্যবসা! হাতেনাতে ধরা !!

রাজধানীর উপকণ্ঠ গাজীপুরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রমজান মাসেও চলছে অবৈধ যৌন ব্যবসা।

সোমবার গাজীপুরের ৫টি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ১৯ তরুণ-তরুণীকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের নির্দেশে এ অভিযান চালান গাজীপুরের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম কুদরত-এ-খুদা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরীন মাধবী, রাসেল মিয়া এবং জুবের আলম।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে মহানগরীর বোর্ড বাজারের ময়নামতি আবাসিক, টঙ্গীর কাজী মার্কেটের মুন স্টার, হাজী জলিল মার্কেটের অনামিকা, বন্ধু এবং সানমুনসহ ৫টি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৯ তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়। পরে তাদের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এনডিসি কুদরত-এ-খুদা বলেন, এসব হোটেলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ যৌন ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে আটক ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জন তরুণ এবং ছয়জন তরুণী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্য দুইজনকে গাঁজা সেবন ও বহনের দায়ে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা, তেলিপাড়া, কোনাবাড়ি, টঙ্গী, হোতাপাড়া, মাওনা চৌরাস্তা, এমনকি ভাওয়ালের বনে গড়ে প্রায় অর্ধশত আবাসিক হোটেলে চলছে জমজমাট দেহ ব্যবসা। যৌন ব্যবসার পাশাপাশি অনেক স্থানেই লেনদেন হয় মাদকদ্রব্য।

মাদকের আন্ডারওয়ার্ল্ডে ১৪১ গডফাদার !!

ছবি: বা থেকে এমপি বদি, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ (ওপরে মাঝে), ব্যবসায়ী সাইফুল করিম (ওপরে ডানে), বদির পিএ মং মং সেন ও এমপি বদির ভাই মৌলভী মুজিবুর রহমান

মাদকের আন্ডারওয়ার্ল্ডে তারা ডন হিসেবে পরিচিত। কেউ কেউ বলেন গডফাদার। তাদের হাতেই দেশের মাদক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ। অনেকে সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতা। ওয়ার্ড, থানা বা মহানগর নেতা থেকে খোদ সংসদ সদস্য পর্যন্ত। আছেন সিআইপি খেতাব পাওয়া ধনাঢ্য ব্যবসায়ী থেকে সরকারি কর্মকর্তারাও।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সম্প্রতি দেশের মাদক গডফাদারদের একটি তালিকা প্রণয়ন করে। দেশজুড়ে যার সংখ্যা ১৪১ জন। এতে ক্ষমতাধর অনেক রাজনীতিকের ভয়ংকর কুৎসিত চেহারা বেরিয়ে আসে। ৩১ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তালিকাভুক্ত মাদক গডফাদারদের নাগাল পেতে ব্যর্থ হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এখন দুদকের দ্বারস্থ হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যানের কাছে তালিকা পাঠিয়ে বলা হয়, অন্তত এদের অবৈধ আয়ের পথ ও বিশাল অর্থবিত্তের খোঁজ পেতে সক্ষম হবে দুদক।

সম্প্রতি দুদক সূত্রে গোপনীয় এ তালিকার একটি কপি যুগান্তরের হাতেও আসে। তালিকার দ্বিতীয় পৃষ্ঠার একটি প্যারায় চোখ আটকে যায়। কারণ সেখানে বলা হয়েছে, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি দেশের ইয়াবা জগতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী। তার ইশারার বাইরে কিছুই হয় না। দেশের ইয়াবা আগ্রাসন বন্ধের জন্য তার ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট।’

তালিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ রোববার যুগান্তরকে বলেন, দুদক থেকে মাদক গডফাদারদের নামধাম আমাদের কাছে চাওয়া হয়েছিল। আমরা সেই তালিকা প্রণয়ন করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ হাতেনাতে মাদক উদ্ধার ছাড়া আমরা কাউকে গ্রেফতার করতে পারি না। এক্ষেত্রে দুদক আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে।

সর্বনাশা বদি ও তার ৫ ভাই :

তালিকায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে মাদক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি বলা হয়েছে। এতে বদির সঙ্গে তার পাঁচ ভাইয়ের নামও উঠে এসেছে। তারা হলেন- মৌলভী মুজিবুর রহমান, আবদুস শুক্কুর, মো. সফিক, আবদুল আমিন ও মো. ফয়সাল। তাদের মধ্যে সরকারের প্রায় সব সংস্থার তালিকায় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ছাড়া তার ৫ ভাইয়ের নাম রয়েছে। তবে আপন ভাই ছাড়াও তালিকায় বদির পিএস মং মং সেন ও ভাগ্নে সাহেদুর রহমান নিপুসহ আরও বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠভাজনের নাম রয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকা সংক্রান্ত গোপনীয় প্রতিবেদনের ভূমিকা অংশে বলা হয়েছে, ‘সরকারদলীয় এমপি হওয়ার সুবাদে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অনুসারী/সহযোগী নিয়ে তিনি ইচ্ছেমাফিক ইয়াবা ব্যবসাসহ অন্যান্য উৎস হতে অবৈধ আয়ে জড়িত আছেন। শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তার অনিচ্ছার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা করার সাহস রাখে না। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জেলার অন্য শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বা টেকনাফের যে কোনো চাঁদাবাজ এলাকায় প্রভাব বিস্তারে সক্ষম নয়। বিশেষত মিয়ানমার থেকে চোরাচালান হওয়া ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করার জন্য তার ইচ্ছাশক্তি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমার হয়ে ভিআইপি প্রটেকশনে ইয়াবার বড় বড় চালান টেকনাফে নিয়ে আসার কাজটি করেন বদির ৫ ভাই। আর সেগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি ডিলারদের কাছে পৌঁছে দেন পিএস মং মং সেনসহ তার নিজস্ব অনুসারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার জেলার একজন পুলিশ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজেই মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার কারণে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দর্শকের ভূমিকায় হাত গুটিয়ে বসে থাকার আর কোনো উপায় থাকে না। সবাই সবকিছু জানলেও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল বেছে নিতে বাধ্য হন।

এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বক্তব্য জানার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার রিং করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বক্তব্য চেয়ে রোববার বিকাল ৪টা ৫৩ মিনিটে ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর পর থেকেই তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সাইফুলের হাত কতটা লম্বা :

কেউ কেউ বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল করিম ওরফে হাজী সাইফুল ইয়াবার আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি। মাদক ব্যবসা করে তিনি এখন শত কোটি টাকার মালিক। তবে অন্য ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার পার্থক্য আছে। কারণ সাইফুল অনেক উপরতলার মানুষ। তার হাতও অনেক লম্বা।

সাইফুলের ক্ষমতার সামান্য ধারণা পাওয়া যায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের এক কর্মকর্তার কথায়। তিনি বলেন, সাইফুলের ঘনিষ্ঠ এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে কয়েক মাস আগে আটক করা হয়েছিল। এরপর পুলিশ প্রশাসনের এমন উচ্চপর্যায় থেকে ফোন আসে, যা কল্পনাও করা যায় না। এরপর থেকেই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা সাইফুলকে অনেকটাই সমীহ করে চলেন। এ সুযোগে সাইফুলের ইয়াবা ব্যবসা রমরমা।

সূত্র বলছে, হাজী সাইফুল বিএনপির নেতা গোছের লোক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি তার ভোল পাল্টে যায়। স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা চোখে পড়ার মতো।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকায় বলা হয়েছে, সাইফুল করিম একজন সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি)। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িত। তবে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ায় তিনি অর্থ দিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থান করে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।

স্থানীয় প্রশানের কয়েকটি সূত্র জানায়, সাইফুল নিজেকে আমদানি-রফতানিকারক বলে পরিচয় দেন। তার বৈধ ব্যবসার সাইনবোর্ডের নাম এসকে ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু গত কয়েক বছরে তার সম্পদ যেন ফুলেফেঁপে উঠেছে, যা অনেক প্রশ্নের দাবি রাখে। কাজীর দেউড়ি ভিআইপি টাওয়ারে একাধিক অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট, কক্সবাজার কলাতলী পয়েন্টে হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের নির্মাণকাজ চলছে। স্থানীয়রা বলছেন, সাইফুলের হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়ার নেপথ্যে আছে মূলত ইয়াবার চোরাচালান।

উপজেলা চেয়ারম্যানও কম যান না :

টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ ওরফে জাফর চেয়ারম্যানও কম যাননি। ছেলে মোস্তাককে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকায় তাদের অবস্থান যথাক্রমে ২ ও ৩ নম্বরে। এতে বলা হয়েছে, ‘পিতা-পুত্র একত্রে রাজনীতি ও ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে তৎপর। জাফর চেয়ারম্যান বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও ৫-৬ বছর আগে তিনি স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।’

ইয়াবা গডফাদার হিসেবে নাম তালিকাভুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে যুগান্তরের কক্সবাজার অফিস থেকে টেকনাফ উপজেলা পরিষদে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে জানানো হয়, চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ বিদেশে রয়েছেন। তার ছেলে মোস্তাক দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। তাকে গুম করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

তালিকার ৪ নম্বরে আছেন সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএ) মং মং সেন। তার বাবার নাম অং সেন। টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ায় তার বাড়ি। টেকনাফ থানা সূত্র জানায়, মং মং সেন ঢাকায় একাধিকবার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হন। কিছুদিন আগে তিনি একটি মাদক মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে এখন কক্সবাজারে ফিরেছেন। এছাড়া এমপি বদির ফুফাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেলের নামও আছে তালিকায়।

তালিকার ৭ নম্বরে থাকা জাফর ওরফে টিটি জাফরের ইয়াবা নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে। আগে তিনি হুন্ডি ব্যবসা করতেন। হুন্ডি জগতেও তিনি মাফিয়া হিসেবে পরিচিতি পেলে তার নাম হয় টিটি জাফর। পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডির তালিকায়ও টিটি জাফরের নাম রয়েছে। তবে সেখানে তার পরিচয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালানি হিসেবে।

বিস্ময়কর ব্যাপার হল, স্থানীয়ভাবে ক্লিন ইমেজের রাজনীতিক নেতা হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজন নেতার নামও ইয়াবা গডফাদারদের আশ্রয়দাতা হিসেবে তালিকায় উঠে এসেছে। যেমন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর ছেলে রাশেদ ও মাহবুব মোরশেদের নাম আছে যথাক্রমে তালিকার ১১ এবং ৪৭ নম্বরে।

তালিকার ১৬ নম্বরে থাকা মাদক গডফাদার মীর কাশেম ওরফে কাশেম মেম্বারের পরিচয়- তিনি সরাসরি জাহাজে করে ইয়াবার চালান পাচার করেন। ১৭ নম্বরে থাকা সৈয়দ হোসেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেনের ভাই। তালিকার ২০ নম্বরে আছে আক্তার কামাল ও শহীদ কামাল দুই ভাইয়ের নাম। এরা স্থানীয় এমপি বদির আত্মীয়।

তালিকায় বলা হয়েছে, এরা বদির বোনজামাই পুলিশের সাবেক ওসি আবদুর রহমানের খালতো ভাই। স্থানীয়ভাবে এরা বদির বেয়াই হিসেবে পরিচিত। তালিকার ৩২ নম্বরে থাকা মৌলভী আজিজের নামটি খুবই উল্লেখযোগ্য। কারণ তিনি স্থানীয়ভাবে একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, দানশীলতার আড়ালে তার আসল পরিচয় ইয়াবা গডফাদার।

মৌলভী আজিজের সঙ্গে রোহিঙ্গা কানেকশন অনেক শক্তিশালী উল্লেখ করে স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, আজিজ মূলত রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের জন্য বিদেশ থেকে অনুদান আনেন। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তিনি মোটা অঙ্কের অনুদান পেয়ে থাকেন। এখন তার ইয়াবা নেটওয়ার্ক দেশের বাইরেও আছে কিনা, তা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি বেশ প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত।

তালিকার ৮৪ নম্বরে আছে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তারের ভাতিজা ইসমাইল হোসেনের নাম। তার বাড়ি ফেনী সদরের কাজীরবাগ এলাকায়। ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় মাদক গডফাদারদের মধ্যে আছে বিহারি ক্যাম্পের ইশতিয়াক, রামপুর থানা যুবলীগ নেতা তানিম ও মেরুল বাড্ডার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জয়নালসহ মোট ৩২ জন।

এছাড়া তালিকায় রাজশাহী বিভাগের মোট ২১ জন হেরোইন গডফাদারের নাম রয়েছে। এরা সীমান্তের ওপার থেকে বড় বড় হেরোইনের চালান এনে রাজশাহীর গোদাগাড়ি, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় বিক্রি করেন।

Sunday, April 22, 2018

সৌদিতে ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি!!

শনিবার রাতে ড্রোন ওড়ানো নিয়ে রাজপ্রাসাদের সামনে গোলাগুলির ঘটনার পর দেশটিতে বিনা অনুমতিতে ড্রোন ওড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশে ড্রোন ওড়ানোর ওপর একটি নীতিমালা ইতিমধ্যে প্রায় চুড়ান্ত করা হয়েছে।

এসপিএ নিউজ এজেন্সির বরা দিতে এ খবর দিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আনাদলু এজেন্সি।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ড্রোন ওড়াতে গেলে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। যেখানে ড্রোন ওড়ানো হবে ওই এলাকার পুলিশ ও স্থানীয়দের অনুমতিপত্র দেখাতে হবে।

শনিবার ভোর রাতে দেশটির রাজপ্রাসাদের বাইরে ব্যাপক গুলির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে রাজধানী রিয়াদের রয়্যাল প্যালেসের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়।

পররবর্তীতে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজপ্রাসাদের কাছাকাছি একটি খেলনা ড্রোন উড়তে দেখা যায়। নিরাপত্তারক্ষীরা ড্রোনটি গুলি করে ভূপাতিত করে।

কে এই মাদক সম্রাজ্ঞী সিমা যার একাধিক পুরুষেও মন ভরে না !

রাজধানীর ভয়ঙ্কর শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী সিমা। চালচলন ও জীবনযাপনে তার আভিজাত্যের ছাপ। চলেন উচু তলার মানুষের সঙ্গে। মাদক ব্যবসা করে তিনি টাকার ...