Click Here!!

Sunday, April 22, 2018

সৌদিতে ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি!!

শনিবার রাতে ড্রোন ওড়ানো নিয়ে রাজপ্রাসাদের সামনে গোলাগুলির ঘটনার পর দেশটিতে বিনা অনুমতিতে ড্রোন ওড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশে ড্রোন ওড়ানোর ওপর একটি নীতিমালা ইতিমধ্যে প্রায় চুড়ান্ত করা হয়েছে।

এসপিএ নিউজ এজেন্সির বরা দিতে এ খবর দিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আনাদলু এজেন্সি।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ড্রোন ওড়াতে গেলে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। যেখানে ড্রোন ওড়ানো হবে ওই এলাকার পুলিশ ও স্থানীয়দের অনুমতিপত্র দেখাতে হবে।

শনিবার ভোর রাতে দেশটির রাজপ্রাসাদের বাইরে ব্যাপক গুলির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে রাজধানী রিয়াদের রয়্যাল প্যালেসের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়।

পররবর্তীতে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজপ্রাসাদের কাছাকাছি একটি খেলনা ড্রোন উড়তে দেখা যায়। নিরাপত্তারক্ষীরা ড্রোনটি গুলি করে ভূপাতিত করে।

আফগানিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ৩১!!

আফগানিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় আরও ৫৪ জন আহত হয়েছেন।

রোববার রাজধানী কাবুলের দাশ্ত ই বার্চি এলাকায় একটি ভোটার রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রের বাইরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি।

যেখানে এই হামলা হয়েছে সেই এলাকাটিতে সংখ্যালঘু শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে।

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করেছে। এর আগেও আইএস বেশ কয়েকবার এই এলাকাটিতে প্রাণঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছিল।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিব দানেশ জানিয়েছেন, কেন্দ্রটিতে পরিচয় পত্র দেয়ার সময় হেঁটে সেখানে আসা এক ব্যক্তি বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং ৫৪ জন আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলের আশপাশে রাখা গাড়ি ধ্বংস হয় এবং নিকটবর্তী ভবনগুলোর জানালা ভেঙে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে শিশু ও নারীরাও ছিল। সবাই তাদের পরিচয় পত্র সংগ্রহ করতে সেখানে জমায়েত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, অক্টোবরে আফগানিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পুরো আফগানিস্তানজুড়ে ভোটার রেজিস্ট্রেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

ঐশীর বাবা-মা হত্যা: ৬ মে গৃহকর্মী সুমির বিরুদ্ধে রায়


পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায়ের তারিখ আগামী ৬ মে ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক ও অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আল মামুন রায় ঘোষণার এ তারিখ ঠিক করেন।

শুনানিকালে গৃহকর্মী সুমি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটিতে ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

এর অাগে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানের ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন দ্রুত ট্রাইব্যুনাল।

পরে ২০১৭ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট তার দণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবনের আদেশ দেন।

ওই ঘটনার মামলায় গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমির বয়স ১৬ বছরের নিচে হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

ঐশীর মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সম্পন্ন হলেও সুমির অংশের মামলা শিশু আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এর পরদিন তাদের মেয়ে ঐশী রহমান রমনা থানায় নিজে আত্মসমর্পণ করে।

ঐশী
পরবর্তীতে সে আদালতে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এরপর থেকে ঐশী কারাগারে রয়েছে।

তবে শিশু হওয়ায় সুমি জামিনে রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর সুমি ও ঐশী মিলে রক্ত ধোয়া মোছা করেছিলেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর।

শত্রুকে ফাঁসাতে ছেলেকেই খুন করালো পাষণ্ড বাবা!!


দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে শত্রুতা ছিল বাড্ডার সাতারকুল এলাকার জাহিদ ওরফে জাহাঙ্গীরের। সেজন্য নিজের ছেলেকেই হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। এরপর সেই পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৭ এপ্রিল ভাড়াটে কিলারকে দিয়ে কিশোর ছেলে আউসারকে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাতে হত্যার পর ধানক্ষেতে ফেলে আসেন।

এরপর নিজেই বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১৯) তিনি। উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন ওরফে হেলু ও আব্দুল জলিলকে ঘায়েল করা। তবে শেষমেষ সেই পরিকল্পনায় শত্রু নয়, ফেঁসেছেন নিজেই।

রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগ উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ এসব তথ্য জানান।

নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড্ডা থানা এলাকার পূর্ব পদরিয়ার একটি ধানক্ষেত থেকে গালে ও ঘাড়ে জখমসহ কিশোর আউসারের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই ঘটনায় পিতা জাহিদের দায়ের করা হত্যা মামলা তদন্ত শুরু করেন বাড্ডা থানা পুলিশের এসআই শামসুল হক সরকার।

তদন্তকালীন প্রযুক্তিগত তথ্য ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যর ভিত্তিতে গত ২০ এপ্রিল সাতারকুল পদরদিয়ার রহমতউল্লাহ গার্মেন্টসের পাশের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় কিলার আব্দুল মজিদকে (২৭)। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে পিতার পরিকল্পনায় ছেলে খুনের রহস্য।

ডিসি মোস্তাক বলেন, শনিবার গ্রেফতার মজিদ ১৬৪ ধারায় আউসার হত্যায় জড়িত থাকার ব্যাপারে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে মজিদ জানান, প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন ওরফে হেলু ও আব্দুল জলিলের সঙ্গে শত্রুতা ছিল আউসারের বাবা জাহিদের। শত্রুদের ঘায়েল করতেই মজিদের সঙ্গে একাধিকবার পরিকল্পনা করেন জাহিদ।

পরিকল্পনা মোতাবেক ছেলেকে হত্যার জন্য ঘটনার দিন ছুরি কেনা হয়। আউসারকে ডেকে মজিদকে দিয়ে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। আর দায় চাপানো হয় কথিত শত্রুদের উপর।

তবে সে পরিকল্পনা ধোপে টেকেনি। মজিদকে গ্রেফতার ও স্বীকারোক্তির পর গতকালই গ্রেফতার করা হয় ঘাতক বাবা জাহিদ ওরফে জাহাঙ্গীরকে। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে দায় স্বীকার করেছে জাহিদ। তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানার এসআই শামসুল হক সরকার বাদী হয়ে ভিন্ন একটি এজহারে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ২৩)। ওই মামলায় জাহিদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশ পরিদর্শক কাজী আবুল কালাম।

প্রেমিককে আটকে রেখে প্রেমিকাকে রাতভর গণধর্ষণ! অতঃপর..


নরসিংদীতে প্রেমিককে আটকে রেখে প্রেমিকাকে রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগে ৮ বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার ভোরে নরসিংদী সদর ও শিবপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। নির্যাতিত নারী জয়পুরহাট শহরের বিশ্বাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা। দুই বছর আগে তার স্বামী মারা যায়।

পুলিশ ও নির্যাতিতা নারী জানায়, দুই বছর আগে মুঠোফোনের মাধ্যমে নরসিংদীর সাহেপ্রতাপ এলাকার আশিক শেখের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় ওই নারীর। শনিবার রাতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সে নরসিংদী চলে আসে। রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে সাহেপ্রতাব এসে পৌঁছালে প্রেমিক আশিক শেখ তাকে রিকশা করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে কিছু বখাটে মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের রিকশার গতিরোধ করে।

পরে প্রেমিক আশিক শেখকে আটকে রেখে প্রেমিকাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে নরসিংদী পৌর শিশু পার্কে এবং পরবর্তীতে শিবপুরের কুমড়াদীর একটি পরিত্যক্ত মিলের ভেতরে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।

পরে নির্যাতিতার অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৮ বখাটেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

ধর্ষক
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আব্দুল গফফার পিপিএম জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা নরসিংদীতে নিয়মিত বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। ওইদিন রাতভর মেয়েটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় তারা। পরে আমাকে জানালে ভিকটিমকে সঙ্গে নিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অবশেষে তাদের হাতেও নৌকার বৈঠক দিচ্ছেন শেখ হাসিনা!!


নির্বাচনী বছরে আবারও উত্তাল রাজনীতির মাঠ । নানা ইস্যুতে সমালোচিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে আবারও মেরুকরণের আশঙ্খা । নানান সময়ে আলোচনায় আসা সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাদের আবারও দলে ভিরাচ্ছে দলটি, এমনটাই রাজনীতির মাঠের জোর গুঞ্জন ।

১/১১ সরকারের সময় দলে ‘সংস্কার’ দাবি করা নেতাদের একটা বড় অংশকে ইতোমধ্যে দলে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অবশিষ্ট সংস্কারপন্থি ও বিভিন্ন কারণে দূরে থাকা নেতাদের দলে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন কাদের সিদ্দিকী, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এবং প্রফেসর আব্দুল মান্নান। আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের নেতারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

দলের নেতারা জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এবং মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান ১/১১-এর সময়ে সংস্কারপন্থির অভিযোগে দলের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ওই সময় দলে যারা সংস্কার চেয়েছিলেন, তাদের অনেকেই বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। কেউ কেউ মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনও করেছেন। এ ছাড়া নানা কারণে দলের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয় মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর টাঙ্গাইল এলাকায় সক্রিয় কাদেরিয়া বহিনীর প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর। পরে দল থেকে বেরিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে নতুন দল গড়েন। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড এই চার নেতাকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাবনা হলো এরা আর যা-ই হোক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভক্ত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তাই আগামী নির্বাচনের আগে এই চারজনকে রাজনীতিতে সক্রিয় করার তৎপরতা শুরু হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের দু-একজন নেতা জানান, ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ড থেকে এসব নেতার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। এতদিন দূরে থাকায় অনেকের হয়তো অভিমান ছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রতি ভালোবাসা ও দুর্বলতার কারণে তারা দলের পক্ষ থেকে যোগাযোগের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। এ বিষয়ে ‘প্রকাশ্যে উদ্ধৃত’ হয়ে আওয়ামী লীগের কোনো দায়িত্বশীল নেতা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি দেশের জন্য রাজনীতি করি, রাজনীতি করে যেতে চাই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে কোনো কথা বলতে রাজি হননি বৃহত্তর সিলেট এলাকার এই রাজনীতিবিদ।

আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেন টাঙ্গাইলের সাবেক এমপি কাদের সিদ্দিকী। গত কয়েক বছর সরকারবিরোধী রাজনীতি করে তেমন কোনো সুবিধা করতে পারেননি। তবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বেড়েছে তার। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কয়েক দফা দেখা করেছেন। গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার সঙ্গে দেখা করেন কাদের সিদ্দিকী। সূত্রমতে, এর পর আরও একবার গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, খুব ছোট্ট দেশ। এখানে অনেক কিছুই হয়। এখনো কিছু বলার সময় আসেনি।

আওয়ামী লীগের দুই সাবেক এমপি পাবনা সাঁথিয়া আসনের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এবং মেহেরপুর-১ আসনের প্রফেসর আব্দুল মান্নান দুজনই আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিজ নিজ এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাবেন বলেও আশাবাদী তারা।

অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, আগামী নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধ শক্তির বাঁচা-মরার লড়াই। নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এগিয়ে নিতে হবে। নির্বাচনে জয়লাভ করতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান গতকাল বলেন, আগামী নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ অব্যাহত আছে।-আমাদের সময়

Islamic State suicide bomber kills 57 in Afghan Capital


KABUL, Afghanistan (AP) — A suicide bomber struck a voter registration center in the Afghan capital on Sunday, killing at least 57 people in an attack claimed by the Islamic State group.
Public Health Ministry spokesman Wahid Majro said another 119 people were wounded in Sunday's attack, updating an earlier toll. Gen. Daud Amin, the Kabul police chief, said the suicide bomber targeted civilians who had gathered to receive national identification cards.
The large explosion echoed across the city, shattering windows miles away from the attack site and damaging several nearby vehicles. Police blocked all roads to the blast site, with only ambulances allowed in. Local TV stations broadcast live footage of hundreds of distraught people gathered at nearby hospitals seeking word about loved ones.

Majro said there were five small children and 21 women among the dead. More than a dozen children and nearly 50 women were wounded, he said, adding that the tolls could still rise.
The Islamic State group has claimed responsibility in a statement carried by its Aamaq news agency, saying it had targeted Shiite "apostates."
Afghanistan will hold parliamentary elections in October.
Last week, three police officers responsible for guarding voter registration centers in two Afghan provinces were killed by militants, according to authorities.
Afghan security forces have struggled to prevent attacks by the Islamic State affiliate as well as the more firmly established Taliban since the U.S. and NATO concluded their combat mission at the end of 2014. Both groups regularly launch attacks, with the Taliban usually targeting the government and security forces, and IS targeting the country's Shiite minority.
Both groups want to establish a harsh form of Islamic rule in Afghanistan, and are opposed to democratic elections.
Elsewhere in Afghanistan, at least five people were killed when their vehicle struck a roadside bomb in the northern Baghlan province. Zabihullah Shuja, spokesman for the provincial police chief, said four other people were wounded in Sunday's blast in Puli Khumri, the capital of the province.

Saturday, April 21, 2018

সোশ্যাল মিডিয়ায় সব থেকে প্রভাবশালী অনুষ্কা শর্মা: পিছিয়ে প্রিয়াঙ্কা, দীপিকা মোট ১৪ টি ভাষায় তথ্য সংগ্রহ


তারকাদের সমস্ত খবর আমরা পেয়ে থাকি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়া এখন হয়ে উঠেছে তারকাদের এক “ইমেজ বিল্ডিং” এর স্থান। সেই সোশ্যাল মিডিয়ার  সব থেকে প্রভাবশালী তারকা হচ্ছেন অনুষ্কা শর্মা। তিনি হয়ে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার  নয়া “হার্ট থ্রব”, বলছে স্কোর ট্রেন্ডস নামক এক আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থা। তারা সব ভাষার সংবাদমাধ্যম কে নিয়ে একটি সমীক্ষা করে এবং যে তারকারা সব সময় খবরের “হিট লিস্টে” থাকে তাদের মধ্যে কার প্রভাবশীলতা সব থেকে বেশি, তার ওপর একটি রাঙ্কিং এর তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন অনুষ্কা শর্মা, পেয়েছেন ৭১.৯০ পয়েন্ট।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে, তবে অনেক পিছিয়ে, পেয়েছেন ৫০.৩৪ পয়েন্ট।

অশ্বিনী কাউল, স্কোর ট্রেন্স এর সহ প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন যে মোট ১৪ টি ভাষায় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে সংবাদপত্র, ফেসবুক, টুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি তে, যে সমস্ত ভাইরাল খবর সম্প্রচার হয়েছে, তার থেকেই তথ্য সংগ্রহ করে, খবরের সত্যতা যাচাই করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। তৃতীয় স্থানে দীপিকা পাড়ুকোন, পেয়েছেন ৪০.০৯ পয়েন্ট। চতুর্থ স্থানে কঙ্গনা রানাউত, পেয়েছেন ৩১.৭৮ পয়েন্ট। প্রথম দশের তালিকায় সানি লিওন, সোনাম কাপুর, শ্রদ্ধা কাপুর, বিদ্যা বালন, তাপসী পান্নু ও মাধুরী দীক্ষিত।

বৃষ্টির পরেও গেইলের ব্যাটিং ঝড়!!


ঝড় বৃষ্টির ম্যাচে দাপটে জয় গেইলদের পাঞ্জাবের।ক্রিস গেইল-লোকেশ রাহুলের ব্যাটিং ঝড়ের মাঝেই বৃষ্টি। যে কারণে কিছু সময় খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টির পর খেলা যখন ফের শুরু হয় তখন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের নতুন টার্গেট দাঁড়ায় ১৩ ওভারে ১২৫ রান।

আগের ৮.২ ওভারে ৯৬ রান করা পাঞ্জাবের শেষ ২৮ বলে প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। বৃষ্টির পর সাধারণত মাঠ বোলিং সহায়ক হয়ে যায়। ব্যাটসম্যানদের জন্য রান সংগ্রহ করাটা কঠিন হয় দাঁড়ায়। সেই বৈরিতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই নির্ধারিত ওভারের ১১ বল আগেদলকে৯ উইকেটের জয় উপহার দেন গেইল।

দলের জয়ে২৭ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রান করেন পাঞ্জাবের মারমুখী ওপেনার লোকেশ রাহুল। তার বিদায়ের পরও ব্যাটিং ঝড় অব্যাহত রাখেন গেইল। ৩৮ বলে ৬ ছক্কা ও ৫ চারের সাহায্যে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন গেইল।

এর আগে আইপিএলের চলতি অসরের ১৮তম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৯১ রান সংগ্রহ করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রা করেন ক্রিস লিন। এছাড়া ৪৩ রান করেন দিনেশ কার্তিক।

শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টসে জিতে স্বাগতিক কলকাতা নাইট রাইডার্সদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ঘরের মাঠেই টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৬ রানে ওপেনার সুনিল নারিনের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রবিন উথাপ্পাকে সঙ্গে নিয়ে ৭৭ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান ক্রিস লিন। এরপর ৭ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে ফের চাপের মধ্যে পড়ে কলকাতা। ২৩ বলে ৩৪ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকারে পরিণত হন উথাপ্পা।

মাত্র ৩ রান করতেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন নিথিস রানা। নিজেদের আগের ম্যাচে রাজস্থানের বিপক্ষে ২ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৩৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন তিনি।

ইনিংসের শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে যাওয়া কলকতা নাইট রাইডার্সকে একাই টেনে তুলেন ক্রিস লিন। দ্বিতীয় উইকেটে রবিন উথাপ্পার সঙ্গে ৭৭ এবং চতুর্থ উইকেটে দিনেশ কার্তিকের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যান লিন।

১৫.২ ওভারে কলকাতার স্কোর বোর্ডে ১৪৭ রান জমা করে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। তার আগে ৪১ বলে ৬ বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে চলতি আইপিএলে নিজের সেরা ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন লিন।

তার বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তুলতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল। ফিরছেন মাত্র ১০ রানে। ইনিংস শেষ হওয়ার ৭ বল আগে ফেরেন অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক। তার আগে ২৮ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৩ রান করেন কলকাতার নতুন এই অধিনায়ক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কলকাতা: ২০ ওভারে ১৯২/৭ (লিন ৭৪, কার্তিক ৪৩, ‍উথাপ্পা ৩৪)।

পাঞ্জাব: ১১.১ ওভারে ১২৬/১ ( গেইল ৬২, রাহুল ৬০ )।

ফল: কিংস ইলিভেন পাঞ্জাব বৃষ্টি আইনে ৯ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: লোকেশ রাহুল (পাঞ্জাব)।

খালেদার মুক্তি নয়, সুবিচার দাবিতে সোচ্চার হতে হবে- সিলেটে জাফরুল্লাহ চৌধুরী


সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘ভিন্নমতাবলম্বীদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গুম ও আগামীর রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো

ঘরে কিংবা হলরুমে অনুষ্ঠান না করে রাজপথের দখল নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি না জানিয়ে তাঁর সুবিচারের দাবিতে সোচ্চার হতে হবে।

আজ শনিবার বিকেলে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘ভিন্নমতাবলম্বীদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গুম ও আগামীর রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকারের কাছে ইলিয়াস আলীসহ সব গুম হওয়া নেতা-কর্মীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে লাভ নেই উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কারণ এ সরকারকে পরিচালনা করছে ভারত। তাই সবার আগে দেশপ্রেমিক জনতাকে ভারতের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতার বিকল্প নেই। কিন্তু প্রতিহিংসার মাধ্যমে বিরোধী পক্ষকে গুম ও মামলা দিয়ে নিশ্চিহ্ন করার নোংরা রাজনীতি দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রয়োজন আন্দোলন।

ঘরে কিংবা হলরুমে প্রোগ্রাম নয়, রাজপথ দখল নিতে হবে—বিএনপির নেতা-কর্মীদের এ আহ্বান জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘রাজপথের আন্দোলনেই রাজনীতিতে পরিবর্তন আসতে বাধ্য। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি না জানিয়ে সুবিচারের দাবিতে সোচ্চার হতে হবে। সুবিচার নিশ্চিত হলে সাজা তো দূরের কথা, খালেদা জিয়ার কথিত দুর্নীতির মামলাটিই একেবারে উড়ে যাবে।’

জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল গাফফারের সভাপতিত্বে নগরের পূর্ব দরগাগেইট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত আলোচনা সভায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। ভারত আমাদের দেশকে তাদের করদরাজ্যে পরিণত করতে তাদের গোয়েন্দা সংস্থা “র”-কে ব্যবহার করছে। সিলেটের জনপ্রিয় জননেতা এম ইলিয়াস আলীসহ সকল গুমের সঙ্গে ভারতের “র” জড়িত। ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে গণ-আন্দোলন তৈরি করায় ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে।’

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে বিএনপির নেতা এম ইলিয়াস আলী ও গাড়িচালক আনসার আলী ‘নিখোঁজ’ হন। এর প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ৪ এপ্রিল একই এলাকা থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন তাঁর অনুসারী হিসেবে পরিচিতি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিলেট জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন দিনার ও ছাত্রদলকর্মী জুনেদ আহমদ। বিএনপির কেন্দ্র থেকে শুরু করে সিলেট বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, বিরোধী রাজনীতি দমন করতে ইলিয়াসসহ চারজনকে সরকারই ‘গুম’ করেছে।

‘নিখোঁজ’ হওয়ার সময় ইলিয়াস আলী বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পাশাপাশি সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। চারদলীয় জোট সরকার আমলে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর) আসনের সাংসদ ছিলেন তিনি। ছয় বছরেও তাঁদের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় এবার সিলেট থেকে ইলিয়াস আলীসহ ‘গুম’ হওয়া নেতা-কর্মীদের সন্ধান দাবি জোরালো করার প্রস্তুতিতে সিলেট জেলা বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ সিলেটের সভাপতি শামীমুর রহমান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ উদ্দিন আমন্ত্রিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন। ‘গুম’ হওয়া নেতা-কর্মীর পরিবার থেকে ‘নিখোঁজ’ ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদের বাবা চিকিৎসক মঈনুদ্দিন আহমদ, এম ইলিয়াস আলীর ভাগনি ফাতেমা বিনতিন, ইলিয়াস আলীর সঙ্গে ‘নিখোঁজ’ গাড়িচালক আনসার আলীর স্ত্রী মুক্তা বেগম ও ‘নিখোঁজ’ ছাত্রদলকর্মী জুনেদ আহমদের ছোট ভাই হাসান মঈনুদ্দিন আহমদ বক্তব্য দেন। তাঁরা বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নাকাটি করেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিলেট বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল হক, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্টো যেতে বাধা দেয়ায় পুলিশ কর্মকর্তাকে পিষে দিল মন্ত্রণালয়ের বাস!

ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে ইচ্ছাকৃতভাবে চাপা দিয়ে পা থেঁতলে দেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তার জীবন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি এখন স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে পরিবার বলছে, দেলোয়ারের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। তার জীবন বাঁচানোটাই এখন মুখ্য বিষয়। দেশের বাইরে নিয়ে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এ জন্য তারা পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এদিকে ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও সেই বেপরোয়া বাসচালক নজরুল ইসলামকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও পরিবার জানায়, সোমবার সকাল ৭টা থেকে পলাশী এলাকায় দায়িত্বপালন করছিলেন ট্রাফিক পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। সাড়ে ৮টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহন করা বাস (ঢাকা মেট্রো চ-০৮-০০৫৩) নীলক্ষেতের দিক থেকে উল্টোপথে পলাশী হয়ে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিল। এতে পুলিশ বাধা দিলে চালক নজরুল ইসলামসহ বাসের হেলপার ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান।

ওই সময় কিছুটা দূরে ছিলেন পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। ঘটনাটি চোখে পড়তেই তিনি ছুটে যান। তার সঙ্গেও তর্কে জড়ান বাসের লোকজন। এমনকি পুলিশের পোশাক ধরেও টানাটানি করেন তারা।

এরই একপর্যায়ে চালক বাসটি চালিয়ে দেয়। এতে দেলোয়ারের বাম পা বাসের চাকার নিচে পড়ে থেঁতলে যায়।

ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রুহুল আমিন সাগর যুগান্তরকে বলেন, জনপ্রশাসন কমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহনকারী বাসটি উল্টোপথে যাচ্ছিল। এইচএসসি পরীক্ষা থাকার কারণে সেদিন রাস্তায় যানজট ছিল। এ কারণে পুলিশ সদস্যরা উল্টোপথে না যাওয়ার জন্য বাসের চালককে অনুরোধ করেন। তিনি সে কথা না শুনে ইচ্ছে করেই ট্রাফিক পরিদর্শক দেলোয়ারের ওপর চালিয়ে দেয়। এতে তার পা থেঁতলে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে।

পরিবারিক সূত্র জানায়, দেলোয়ার হোসেনকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা দেলোয়ারের বাঁ পা কেটে ফেলার পরামর্শ দেন। পরিবার তার পা রক্ষার চেষ্টা করতে থাকে।

মঙ্গলবার তাকে পান্থপথের স্পাইনাল অর্থোপেডিক হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানে দেলোয়ার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানায় তার পরিবার।

দেলোয়ারের একজন নিকটাত্মীয় জানান, দেলোয়ার হোসেন আগে থেকেই হৃদরোগী। পাঁচ বছর আগে তার বাইপাস সার্জারি হয়। বুধবার রাত থেকে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই দেলোয়ারের পরিবারের। তিনি চার মেয়ের জনক। সব থেকে ছোট মেয়ের বয়স চার মাস। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তিনি ২৫ বছর ধরে পুলিশে চাকরি করেন।

খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘প্রচণ্ড খারাপ’



দুর্নীতি মামলার সাজায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘প্রচণ্ড খারাপ’ জানিয়ে তাকে দেখতে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার কারাগারে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে দেয়নি।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিকালে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারে যান তার বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের ছেলে অভি, বড় ছেলে তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু ও তার মেয়ে শাহিনা খান জামান বিন্দুসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয় বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের কারা কর্তৃপক্ষ বলেছেন- ম্যাডাম উপর থেকে নিচে নামতে পারছেন না। তার শারীরিক অবস্থা প্রচণ্ড খারাপ হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

কারা সূত্র যুগান্তরকে জানায়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব একটা উন্নতি হয়নি; আবার অবনতিও হয়নি। তার হাঁটু, হাত-পা এবং ঘাড়ে ব্যথা রয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া তার চোখে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। চোখ লাল বর্ণ ধারণ করেছে। কারা কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ডাক্তারের মাধ্যমে তার চিকিৎসা চালাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের কাছে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) এই অবস্থার কথা শুনে পরিবারের সদস্যরা খুবই উদ্বিগ্ন বলে আমাকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন ফখরুলসহ বিএনপির তিন নেতা।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। এরপর থেকেই তিনি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

কে এই মাদক সম্রাজ্ঞী সিমা যার একাধিক পুরুষেও মন ভরে না !

রাজধানীর ভয়ঙ্কর শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী সিমা। চালচলন ও জীবনযাপনে তার আভিজাত্যের ছাপ। চলেন উচু তলার মানুষের সঙ্গে। মাদক ব্যবসা করে তিনি টাকার ...